মনোরথ নামের এই মহাকাশযানে করে দীর্ঘ সময় অতিক্রম করেছে নদী এবং বর্ষা নামের দুই বোন। জমজ এই বোনদ্বয়ের জন্ম পৃথিবীতে। মা-বাবা বাঙালি হবার সুবাদেই তাদের এই বাংলা নাম। বাবা পেশায় নাসার বিজ্ঞানী, মা সাহিত্যিক। যদিও আমেরিকায় বসবাস, কিন্তু মায়ের কাছ থেকে বাংলাদেশের এতই গল্প শুনেছে যে দুই বোনই বাংলাদেশের প্রেমে পড়ে গেছে, বিশেষ করে বাংলাদেশের প্রকৃতির। অনেক আগে থেকেই বাংলাদেশ ভ্রমণের ইচ্ছা হলেও সেটি বোধহয় আর সম্ভব হচ্ছেনা, আমেরিকা সরকার বোধহয় তাদের নাগরিকদের বাংলাদেশ সফরের ভিসা না দেওয়ার সিদ্ধান্তে অটল থাকবে। অবশ্য শুধু আমেরিকাই নয়, আরও কয়েকটি দেশও এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে, কেননা বাংলাদেশে জীবনের কোন নিরাপত্তা নেই, সবসময় খুন জখম রোড এক্সিডেন্ট ইত্যাদি লেগেই আছে। আর সরকার কারো কোনো পরামর্শই শুনতে নারাজ। শুধু রাজনৈতিক লীডাররা নিজেদের আখের গোছাতেই ব্যস্ত আর মৌলবাদী ও স্বাধীনতা বিরোধীরা তো আছেই দেশকে ধ্বংস করতে। আর কোনো পরাশক্তিও পারছেনা হস্তক্ষেপ করতে, কেননা ভারত বাংলাদেশের এই করুণ দশা থেকে সুবিধা লুটছে এবং শোষক সরকারকে সর্বপরি সাপোর্ট দিয়েই যাচ্ছে... ... ...
সে যাই হোক, নদী ও বর্ষার বাংলাদেশকে না দেখলেই যেনো নয়। কিন্তু সেটাও সম্ভব হচ্ছেনা বলে অত্যন্ত মনঃক্ষুণ্ণ হয়ে আছে। সম্পূর্ণভাবে পুরো পৃথিবীর উপর থেকেই মন উঠে গেছে, আর তাইতো বাবার আবিষ্কৃত এই মনরথ নামের মহাকাশ যানে করে পাড়ি জমিয়েছে মহাশূন্যে। মা কিছুতেই রাজি হচ্ছিলেননা, কিন্তু মেয়েরা নাছোড়বান্দা! মাত্র বিশ পেরোতে না পেরোতেই বেড়িয়ে পড়লো তারা। সঙ্গী বলতে যন্ত্র, রোবোট এবং কম্পিউটার যার সাহায্যে মহাকাশযান চালনা, নতুন গ্রহের অনুসন্ধান এবং পৃথিবীর সাথে যোগাযোগ রাখা সম্ভব হচ্ছে।
মহাকাশে অনেক বিস্ময়কর কিছু দেখেছে ওরা, অনেক মজা পেয়েছে। শিখছে, জেনেছে অনেককিছু। কিন্তু সমস্যা হচ্ছেকি- এখন পর্যন্ত সবুজ কোনো গ্রহের সন্ধান পেলোনা। কিছু গ্রহে প্রাণের আলামত পেয়েছে, এমনকি মানুষের ন্যায় প্রাণীর আবাস্থলের সন্ধানও মিলেছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় সবুজ মানে গাছপালা, সাগর-নদী রয়েছে এমন কোনো গ্রহের দেখা মেলেনি। আর তাই যোগাযোগ করেনি ঐসব গ্রহের সাথে।
বর্ষার কথা, চল আমরা ফিরে যাই, কিন্তু নদী নারাজ। তার বিশ্বাস সবুজ কোনো গ্রহের সন্ধান ওরা অবশ্যই পাবে। তাইতো এখনো চালিয়ে যাচ্ছে অভিযান।
অতঃপর বোধহয় মিলল সবুজ কোনো গ্রহের সন্ধান ! যেন একেবারেই পৃথিবীর মতই- আছে সবুজ গাছ, পাহাড়, সাগর, নদী... ... ... পাওয়া গেল প্রাণের ও সন্ধান। যোগাযোগ করতে ওরা দারুন অবাক হলো- এরাতো মানুষ!
অভিনন্দন জানানো হলো ওদেরকে ঐ গ্রহে। কিন্তু শেষমেশ জানতে পারলো কিছু মানুষ অনেক আগে পৃথিবী ছেড়ে এখানে এসে বসবাস স্থাপন করেছে, কিন্তু এই গাছপালা মোটেই আসল নয়! এখানে অক্সিজেন উৎপন্ন হয় পানির বিশাল হৃদ থেকে যান্ত্রিক প্রক্রিয়ায়। ওরা আরো জানতে পারলো যে এই মানুষগুলো অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কোথাও সবুজ গ্রহের সন্ধান পায়নি, ফিরেও যেতে মনে চায়নি পৃথিবীতে। উন্নত প্রযুক্তি ছিলো, তাই এইগ্রহটাকেই আবাসস্থল বানিয়ে থাকছে। আর সৌন্দর্যের জন্য এই নকল গাছপালা। এইসব শুনে একটুও মন টিকলোনা দুইবোনের- জানে নতুন করে খুঁজে আর লাভ নেই। তাই ফিরে চলল পৃথিবীর দিকে- হ্যাঁ ওখানে অনেক কাজ আছে। বাসযোগ্য করে তুলতে হবে প্রিয় ধরণীকে- সে যেভাবেই হোক না কেন যেতে হবে বাংলাদেশে।
১০ এপ্রিল - ২০১১
গল্প/কবিতা:
৬ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪